শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এসময় ডাকাতের প্রহারে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দোকান মালিক। জড়িত থাকা সন্দেহে কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সদর মডেল থানার ওসি ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ২৬ জানুয়ারী রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও ফরিদ আহমদ কলেজ সংলগ্ন ইউনুছ স্টোরে। আহত ব্যবসায়ী যুবলীগ এবং কমিউনিটি পুলিশ নেতা হুমায়ুন ইসলাম (২৬) পশ্চিম ভাদিতলার গোমাতলী পাড়ার আবদুল হাকিমের পুত্র বলে জানা গেছে। ধৃত কর্মচারী রায়হান (১৪) কলেজ গেইট এলাকার নুরুল আবছারের পুত্র। আহত হুমায়ুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হুমায়ুনের ভাই সোহেল জানান, ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দোকানে গিয়ে প্রথমে তালা খুলতে বলে। এসময় হুমায়ুন ঘুমন্ত অবস্থায় কর্মচারী রায়হান ডাকাতদের কথামতে সকল তালা খুলে দেয়। পরে দোকানে প্রবেশ করে হুমায়ুনকে ২ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে রক্ষিত মালামাল তছনছ পূর্বক নগদ ৩ লক্ষ টাকা, বিকাশ ও ইজিলোডের মোবাইলসহ ৩টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আরো ১ রাউন্ড গুলিসহ মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে কলেজের পাহাড় হয়ে উত্তরদিকে চলে যায়। তার শোর চিৎকারে স্থানীয়রা পরিবারকে খবর দিলে স্বজনরা এসে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

হাসপাতালে অবস্থানরত তার ছোট ভাই ইব্রাহিম জানান, ভাইয়ের কোমরের নীচ থেকে ২টি গুলি বের করা হয়েছে। বুকে আরো একটি গুলি রয়ে গেছে। সেটা অপারেশন করে বের করতে হবে। তাছাড়া মাথায় উপর্যুপরী কোপের সেলাই করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার নাটের গুরু হিসাবে দোকান কর্মচারী রায়হানকে সন্দেহজনক আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। হুমায়ুনের পরিবারের দাবী, দোকান কর্মচারী রায়হান দেড় মাস যাবত কর্মরত থাকলেও কোনদিন দোকানে থাকেনি। এদিন থাকার ইচ্ছা পোষন করলে সরল বিশ^াসে হুমায়ুন তাকে দোকানে রাখে। খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত বড়–য়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাতদের চিহ্নিত করে আটকের জন্য স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, ইতিমধ্যে সন্ধিগ্ধ দোকান কর্মচারীকে ধৃত করা হয়েছে। তার থেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। জড়িতদের সন্ধান ও চিহ্নিতকরণে বিভিন্ন স্থানে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে এবং পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে।